প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব যারা নরসিংদী জেলাকে করেছেন মহিমান্বিত
রাজনীতিক সুন্দর আলী গান্ধী, সতিশ পাকরাশী, কবিরাজ ললিত মোহন দাস, কামিনী কিশোর মল্লিক ও বিজয় চ্যাটার্জী
সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতে যারা আলোকবর্তিকা প্রজ্জলিত করে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন
কবিয়াল হরিচরণ আচার্য্য (‘কবিগুণাকর’ উপাধিতে ভুষিত), মৌলভী
সেকান্দর আলী, কবি দ্বিজদাস, আধুনিক বাংলা সাহিত্যে দেশ বরেণ্য কবি শামসুর
রহমান, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও সমলোচক ড. আলাউদ্দিন আল-আজাদ,
স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের বরনীয় শিল্পী মুক্তিযোদ্ধা আপেল মাহমুদ,
গবেষক ও পবিত্র কোরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক ভাই গিরিশ চন্দ্র সেন ।
সিভিল সার্ভিসসহ অন্যান্য পেশায় যারা স্বমহিমায় উদ্ভাসিত তারা হলেন
উপমহাদেশের প্রথম বাঙ্গালী আই সি এস স্যার কে,জি,গুপ্ত, সাবেক সচিব মোহাম্মদ আলী, সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান মো: নূরউদ্দিন খান প্রমূখ।
শহীদ আসাদের সমাধিস্থল
মুক্তিযুদ্ধ স্মরণ করলেই
চলে আসে গণ-অভ্যুত্থানের নায়কের কথা। তিনি আমাদের নরসিংদী শিবপুর উপজেলার
ধানুয়া গ্রামের সন্তান শহীদ আসাদুজ্জামান। বাবা মৌলভী আবু তাহের। মাতা
মতিজান খাদিজা খাতুন। বাবা ছিলেন এলাকার ঋদ্ধ শিক্ষক ও ধর্মীয় নেতা। আসাদ
১৯৬০ সালে শিবপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্টিক, ১৯৬৩ সালে এম, সি
কলেজ, সিলেট থেকে আই এ পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৬৬ সালে সি টি ল কলেজ ও
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি ভাসানী ন্যাপ ও কৃষক আন্দোলনের
নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তিনি ছাত্র ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা
হলের ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন গ্রুপ) শাখার সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৯ সালের
জানুয়ারিতে সরকার বিরোধী আন্দোলনের বেগবানের ধারাবাহিকতায় ২০ জানুয়ারি
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্তরে একছাত্র সভায়
সরকার ১৪৪ ধারা জারি করলে ছাত্র সমাজ তা ভঙ্গ করে মিছিল নিয়ে এগিয়ে
যায়- মিছিলের একাংশের অগ্রভাগে ছিলেন আসাদ। মিছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজের
পূর্ব দিকের ফটকের সামনে এল পিস্তলের গুলিতে আসাদ শাহাদাত বরণ করেন। তাঁর
স্মৃতিতে জনতা স্বত:স্ফূর্তভাবে আইয়ুব গেইট, আসাদ গেইট ও আইয়ুব এভিনিউ
আসাদ এভিনিউতে পারণত করে। আসাদ তাঁর নিজ গ্রাম ধানুয়ায় সমাহিত আছেন।
No comments